, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


উল্লাপাড়ায় কলেজ ছাত্র খুন, পূরণ হলো না বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন

  • আপলোড সময় : ০৮-০২-২০২৪ ০২:৩০:১৫ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৮-০২-২০২৪ ০২:৩০:১৫ অপরাহ্ন
উল্লাপাড়ায় কলেজ ছাত্র খুন, পূরণ হলো না বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন
উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ উপজেলার শাহীকোলা গ্রামের ফসলের মাঠ থেকে স্বপন আলী (২০) নামের এক কলেজ ছাত্র’র মরদেহ উদ্ধার করেছে। স্বপন এই গ্রামের ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামের ছেলে। মরদেহের মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের ধারনা। স্বপন ২০২৩ সালে কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল হাজী কোরপ আলী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে বর্তমানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার প্রক্রিয়া চালাচ্ছিল।

নিহত স্বপনের মা শিল্পী খাতুন জানান, বুধবার রাত ৮টার দিকে স্বপন আলীর মোবাইল ফোনে কে বা কারা ফোন করে বাইরে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকেই তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাকে রাতে বার বার ফোন করা হয়। ফোনটি রিং হলেও কেউ ধরেনি। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে গ্রামের কতিপয় লোক মাঠে কাজ করতে গিয়ে স্বপনের লাশ পড়ে থাকতে দেখে তাদের পরিবারকে খবর দেয়। এরপর উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। স্বপনের বাবা ব্যবসায়িক কাজে কয়েকদিন ধরে জামালপুরে অবস্থান করছেন।  

নিহত স্বপনের মামা রেজাউল করিম লিটন গণমাধ্যম কর্মীদেরকে জানান, স্বপনের সঙ্গে কারো কোন শত্রæতা ছিল বলে তাদের জানা নেই। তবে রাতে যারা তাকে ফোন দিয়ে ডেকে নেয় তারাই পরিকল্পিতভাবে খুন করে মরদেহ মাঠে ফেলে দিয়ে চলে যায় বলে তাদের ধারনা। তাকে শক্ত কোন জিনিস দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম ফিরোজ জানান, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। স্বপনকে রাতে খুন করা হয়েছে বলে তার ধারনা। তবে কারা খুন করেছে বিষয়টি এখনও জানা যায়নি।

উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম জানান, পুলিশ স্বপনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাকে খুন করে ফসলের মাঠে ফেলে রাখা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারনা করছে। তবে ইতোমধ্যেই পুলিশ খুনিদের শনাক্ত করার জন্য তদন্ত শুরু করেছে। এ ব্যাপারে নিহতের পরিবার থেকে উল্লাপাড়া মডেল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।